মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য সন্তান তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তারিখে। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি পেশা হিসেবে ব্যবসায়কে বেছে নেন। ব্যবসায়ে অবতীর্ণ হয়ে তারেক
রহমান বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ করেন ও স্বল্প সময়ের মাঝে ঐ ব্যবসায়ে সাফল্য
অর্জন করেন। পরে তিনি নৌ-যোগাযোগ খাতেও বিনিয়োগ করেন ও সাফল্য অর্জন
করেন।
বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৩
সোমবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৩
বিএনপি'র প্রথম আহ্বায়ক কমিটি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন
করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের
সমন্নয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে
বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবথেকে প্রধান
বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫% সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে
নতুন ছিলেন তাই নয় তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায়
রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের
মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ঐতিহাসিক ১৯ দফা।
জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি
দেশের আর্থ-সামাজিক মুক্তির লক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি প্রনয়ন করেছিলেন।
১. সর্বতোভাবে দেশের স্বাধীনতা,অখন্ডতা এবং সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করা।
২. শাসন তন্ত্রের চারটি মূলনীতি অর্থ্যাৎ সর্বশক্তিমান
আল্লাহর প্রতি সর্বাত্নক বিশ্বাস ও আস্থা,গনতন্ত্র,জাতীয়তাবাদ,সামাজিক ও
অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সমাজতন্ত্র জাতীয় জীবনে সর্বাত্নক প্রতীফলন।রবিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৩
একটু লুকানোর জায়গা চাই -আনোয়ার জাহিদ
বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইন বলেছিলেন, মানুষ এককালে বাঁদর ছিল এবং
বর্তমান আধুনিক মানুষ বাঁদরেরই গোত্রভুক্ত প্রাণী। ডারউইনের পক্ষে-বিপক্ষে
অনেক কথা আছে। বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সে ব্যাপারে আলোচনা করা
নিতান্ত আহম্মকি ছাড়া আর কিছুই নয়। অবশ্য এতটুকু বলা যেতেই পারে যে, মানুষ
বাঁদরের গোত্রভুক্ত হলেও হতে পারে; তবে বাঁদরের বাঁদরামি যদি কমে তাহলে তা
স্বস্তিকর। অপরপক্ষে মানুষের মনুষ্যত্ব যদি কমে তাহলে তা শুধু অস্বস্তিকরই
নয়, ধ্বংসাত্মকও বটে।
জিয়াউর রহমান : শাসক দলের অশ্রদ্ধার তাণ্ডব : সেদিনের বিশ্ব
আবদুল হাই শিকদার
a_hyesikder@yahoo.com
আমি আমার অনেক লেখায় বলেছি, গত ৩২ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কম করেও ৩২ হাজার বার শিষ্টাচারবর্জিত ভাষায় জিয়াউর রহমানের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন। তার দেখাদেখি তার দলের পাতিপুতি খুচরা আধুলি সিকি নেতারাও যাচ্ছেতাই ভাষায় এই জাতীয় নেতাকে বাপ-বাপান্ত করে গালাগাল করেছেন।
বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকে, স্থান ও স্থাপনা থেকে তার নাম মুছে ফেলার জন্য চালানো হয়েছে হৃদয়হীন বুলডোজার।
এমনকি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা দীলিপ বড়ুয়াও খুঁটির জোরে পাঁঠার মতো কুঁদছেন।
শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩
বাকশাল প্রতিষ্ঠার সেই ২৫ জানুয়ারি
আজ বাকশাল প্রতিষ্ঠার সেই ২৫ জানুয়ারি—
একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের এই তারিখে এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রচিত হয়েছিল এক কালো অধ্যায়ের। ওইদিন সংসদে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতিতে পরিণত হন। এক নজিরবিহীন ন্যূনতম সময়ের মধ্যে (মাত্র ১১ মিনিট) চতুর্থ সংশোধনী বিলটি সংসদে গৃহীত হয় এবং তা আইনে পরিণত হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি। এই বিলের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন পরিবর্তন সাধন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকারী হন। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে তিনি এবং তার আত্মীয়স্বজনরা রাষ্ট্রের সবরকম ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। এ পদক্ষেপকে তিনি তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লবে’র সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। আর এই দ্বিতীয় বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের সব মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেন। অবরুদ্ধ করেন মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা। যদিও এই নেতা ’৭১-এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদাত্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই।’
একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের এই তারিখে এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রচিত হয়েছিল এক কালো অধ্যায়ের। ওইদিন সংসদে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতিতে পরিণত হন। এক নজিরবিহীন ন্যূনতম সময়ের মধ্যে (মাত্র ১১ মিনিট) চতুর্থ সংশোধনী বিলটি সংসদে গৃহীত হয় এবং তা আইনে পরিণত হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি। এই বিলের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন পরিবর্তন সাধন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকারী হন। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে তিনি এবং তার আত্মীয়স্বজনরা রাষ্ট্রের সবরকম ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। এ পদক্ষেপকে তিনি তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লবে’র সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। আর এই দ্বিতীয় বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের সব মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেন। অবরুদ্ধ করেন মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা। যদিও এই নেতা ’৭১-এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদাত্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই।’
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)